
সিউল জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়
সিউল জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় (SNU; কোরীয়, 서울대학교, Seoul Daehakgyo, কথ্য Seouldae) দক্ষিণ কোরিয়ার সউল শহরে অবস্থিত একটি জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় ও গবেষণা ইন্সটিটিউট।
দক্ষিণ কোরিয়ার সবচেয়ে মর্যাদাপূর্ণ এই বিশ্ববিদ্যালয় ১৯৪৬ সালে প্রতিষ্ঠিত।[3] মোট তিনটি ক্যাম্পস নিয়ে গঠিত এই বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসগুলো গোয়ানাক, দেহাংনো এবং পিয়ংছাং এলাকায় অবস্থিত। ষোলটি কলেজ, একটি গ্রাজুয়েট স্কুল এবং নয়টি পেশাদার বিদ্যালয় নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়টি গঠিত। কেএডিআই এর একটি সমীক্ষা অনুযায়ী, এই বিশ্ববিদ্যালয় তার শিক্ষার্থীদের প্রতি মাথাপিছু অন্য যেকোন বিশ্ববিদ্যালয়ের তুলনায় বেশি বিনিয়োগ করে।[4]
৪০টি দেশের ৭০০টিরও বেশি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সাথে সিউল জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়র সংযোগ আছে।[5] বিশ্বব্যাংক[6] এবং ইউনিভার্সিটি অব পেন্সিল্ভ্যানিয়ার সাথে এই বিশ্ববিদ্যালয়ের এক্সচেঞ্জ প্রোগ্রাম রয়েছে।[7]
. . . সিউল জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় . . .
সিউল জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় চোসান ডাইনাস্টির রাজা গোজোং এর সময়কালের একাধিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের আধুনিক রূপ। বেশ কিছু তৎকালীন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বিশ্ববিদ্যালয়টি স্থাপিত হওয়ার পর এর কলেজের মর্যাদা পায়।
আধুনিক শিক্ষার প্রসার ঘটাতে রাজা গোজোং একাধিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের উত্থান ঘটান। রাজ দরবারের আদেশে বেপগোয়ান ইয়াংসংসো ১৮৯৫ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়। এই প্রতিষ্ঠান থেকে ২০৯ জন শিক্ষার্থী পাশ করে বের হন।
জাপানীদের শাসনকালে, কেইজো ইম্পেরিয়াল বিশ্ববিদ্যালয়টি জাপানের অন্য নয়টি রাজকীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর, স্বাধীন দক্ষিণ কোরিয়ায় বিশ্ববিদ্যালয়টির নাম কেইজো তেইকোকু দেইগাকু (京城帝国大学)থেকে গিয়ংসং দেহাক (경성대학, 京城大學, Gyeongseong University). নামে স্থান্তরিত করা হয়। তৎকালে, হাঞ্জা অক্ষর নামকরণে ব্যবহৃত হয় এবং কোরীয় নামকরণে “রাজকীয়” শব্দটি বাদ দেয় আহয়। পরবর্তীতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র শিক্ষাকেন্দ্রে আন্তর্জাতিকতার কথা উল্লেখ করায় “জাতীয়” শব্দটি সংযুক্ত করে নতুন নামকরণ হয়।
সিউল জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি বেশ প্রতিযোগিতাপূর্ণ। ১৯৮১ থেকে ১৯৮৭ সালে, যখন একজনশিক্ষার্থী শুধুমাত্র একটি বিশ্ববিদ্যালয়ে আবেদন করতে পারতো, তখন শীর্ষে থাকা শিক্ষার্থীদের মাঝে শুধুমাত্র ০.৫% শিক্ষার্থী বাৎসরিক সরকারি বিশ্ববিদ্যালয় পরীক্ষায় আবেদন করতে সক্ষম হয় এবং তাদের একটি বড় অংশ ভর্তির আবেদন করেও ব্যর্থ হয়।
সউল জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের পাঠাগার বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের পিছন, গোয়ানাক ক্যাম্পাসে অবস্থিত। ২০০৯ সালের তথ্যানুসারে, ৪০ লাখের মতো এই লাইব্রেরির সংগ্রহ রয়েছে।
. . . সিউল জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় . . .