
সাইকস-পিকো চুক্তি
সাইকস-পিকো চুক্তি, সরকারিভাবে যা এশিয়া মাইনর চুক্তি বলে পরিচিত, ছিল যুক্তরাজ্য ও ফ্রান্সের মধ্যকার একটি গোপন চুক্তি।[1] এতে রাশিয়ারও সম্মতি ছিল। প্রথম বিশ্বযুদ্ধেউসমানীয় সাম্রাজ্যের পরাজয়ের পর মধ্যপ্রাচ্যের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে ত্রিপক্ষীয় আতাতের উদ্দেশ্য এতে বিবৃত হয়। ১৯১৫ সালের নভেম্বর থেকে ১৯১৬ সালের মার্চের মধ্যে এই চুক্তির আলোচনা চলে।[2] ১৯১৬ সালের ১৬ মে এটির উপসংহারে পৌছায়।[3]
এই চুক্তির আওতায় আরব উপদ্বীপের বাইরে উসমানীয় সাম্রাজ্যের আরব প্রদেশগুলো ভবিষ্যত ব্রিটিশ ও ফরাসি নিয়ন্ত্রণ বা প্রভাবাধীন অঞ্চলে বিভক্ত হয়।[4] ফরাসি পক্ষে কূটনৈতিক ফ্রঁসোয়া জর্জ পিকো ও ব্রিটিশ পক্ষে স্যার মার্ক সাইকস এতে সমঝোতা করেন। সাইকস-পিকো চুক্তিতে রাশিরার জারপন্থি সরকার কম গুরুত্বপূর্ণ পক্ষ হিসেবে ছিল। পরবর্তীতে ১৯১৭ সালের অক্টোবরে রুশ বিপ্লবের পর বলশেভিকরা চুক্তিটি প্রকাশ করে। ফলে ব্রিটিশরা বিব্রত হয়। অন্যদিকে আরবরা আতঙ্কিত হয়ে পড়ে এবং প্রকাশিত হওয়ায় তুর্কিরা আনন্দিত হয়।[5]
. . . সাইকস-পিকো চুক্তি . . .
ব্রিটেনকেজর্ডান নদী ও সমুদ্রের মধ্যবর্তী অঞ্চল, জর্ডান, দক্ষিণ ইরাক এবং হাইফা ও এক্রের বন্দরসহ ক্ষুদ্র এলাকা বরাদ্দ দেয়া হয় যাতে ভূমধ্যসাগরে নিয়ন্ত্রণ করা যায়।[6] ফ্রান্সকে দক্ষিণপূর্ব তুরস্ক, উত্তর ইরাক, সিরিয়া ও লেবানন বরাদ্দ দেয়া হয়।[6]রাশিয়াইস্তানবুল, তুরস্কের প্রণালী ও উসমানীয় আর্মেনীয়ভিলায়েত পাওয়ার কথা ছিল।[6] এসকল এলাকার ভেতরের বিষয়বস্তুর বিষয়ে পক্ষগুলোর স্বাধীনতা ছিল।[6] আন্তর্জাতিক প্রশাসন নির্ধারণের জন্য আরো আলোচনা আশা করা হচ্ছিল।[6]
. . . সাইকস-পিকো চুক্তি . . .